স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতে স্বামীর সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্পেনের এক নারী। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বামীর সাথে বাইকে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন স্পেনের ওই নারী। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। সাতজন পুরুষ মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শনিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বামীর সাথে বাইকে চেপে ভারতভ্রমণে এসেছিলেন স্পেনের ওই নারী। শুক্রবার রাতে দুমকা জেলার কুঞ্জি গ্রামে এক নির্জন জায়গায় টেন্টে ছিলেন দম্পতি। সেখানেই নির্যাতনের শিকার হন নারী।
নির্যাতিতার দাবি অনুযায়ী, দুমকা হয়ে শুক্রবার ভাগলপুর যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পথে এক শুনশান জায়গায় তাঁবুতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। রাতে সেখানে তাদের আক্রমণ করেন ৮-১০ জন দুষ্কৃতী। দম্পতিকে মারধোর করার পাশাপাশি নারীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে হেনস্থার শিকার হয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জানা গেছে, এর আগে তারা বাইক নিয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। বাইকে গোটা এশিয়া ঘোরার পরিকল্পনা ছিল স্প্যানিশ দম্পতির। বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তারা। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খেরওয়ার জানিয়েছেন, ওই নারী এবং তার স্বামী দু’জনেই বাইকার। অর্থাৎ, বাইক নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছিলেন তারা। পশ্চিমবঙ্গের পর, ঝাড়খণ্ডের দুমকা হয়ে ভাগলপুর যাচ্ছিলেন তারা। সেখান থেকে নেপালে প্রবেশ করার কথা ছিল তাদের। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তারা কুরমাহাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার আগে কুঞ্জি গ্রামের কাছে পৌঁছেছিলেন। ঠিক করেছিলেন, সেখানেই রাতটা বিশ্রাম নেবেন। তাই সেখানে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করেছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ, তাদের সেই তাঁবুতে হানা দিয়েছিল স্থানীয় কিছু যুবক। ওই নারীকে গণধর্ষণও করে তারা। দম্পতির সর্বস্ব লুঠ করে পালায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস